
জাল প্রতিবেদন তৈরি করে নারীদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শ্রম কর্ম ও প্রস্তুতি ব্যুরোর (বিএমইটি) চারজন কর্তৃপক্ষ এবং পাঁচটি অফিসের মালিক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার দুদকের ডান হাতের নির্বাহী স্বপন কুমার রায় বিক্ষুব্ধ পক্ষ হিসেবে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় দোষী সাব্যস্তরা হলেন বিএমইটি এজেন্ট প্রধান (প্রস্থান) মো. সাজ্জাদ হোসেন সরকার, ডান হাতের প্রধান (প্রস্থান) মো. হোসেন উল্লাহ আকন্দ, শ্রম অধ্যয়ন কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দিন পাটোয়ারী, অফিসের ডান হাত ও কম্পিউটার প্রশাসক মো. আজাদ হোসেন, এইচএ ইউনিভার্সালের তত্ত্বাবধায়ক সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন, কেএইচ অ্যাব্রডের তত্ত্বাবধায়ক সহকারী মো. সালাহউদ্দিন, মক্কা অ্যাব্রডের স্বত্বাধিকারী মো. জামাল হোসেন, তাসনিম অ্যাব্রডের তত্ত্বাবধায়ক সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া এবং এসএম ম্যানপাওয়ারের সহযোগী একরামুল হক।
দুদকের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ২৯ মে রাজধানীতে বিএমইটি অফিসে হামলার সময় এই চক্রের অসঙ্গতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন অফিস একে অপরের সাথে ষড়যন্ত্র করে নারীদের জাল ভ্রমণ পারমিট ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল। প্রকৃত প্রার্থীর নামে অন্য একজন মহিলার আন্তর্জাতিক পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল এবং বিএমইটি ডাটাবেসে তা নিশ্চিত না করেই ছাড়পত্র নিশ্চিত করা হয়েছিল। সম্প্রসারণে, ২৫ বছরের কম বয়সী চারজন নাবালক মহিলাকে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যে আবাসিক শ্রমিক পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি লঙ্ঘন করে করা হয়েছিল।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই চাঁদাবাজির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। হামলার পর, রক্ষিত রেকর্ড পরীক্ষা করে চাঁদাবাজি এবং জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক জানিয়েছে যে, এই বিষয়ে সহায়তা তদন্ত চলছে। পরীক্ষার পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।